রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১৬ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে সন্ত্রাসী রহিম ও তার ছেলের অত্যাচার নির্যাতনে অসহায় এলাকাবাসী উত্তরা ব্যাংকের এমডি রবিউল হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অপসারনের দাবিতে রাজপথে বিল্পবী ছাত্র জনতা ইসরায়েলি বর্বর হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে দেখে কেঁদে ফেললেন মির্জা ফখরুল সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ওসমানী জাতীয় স্মৃতি পরিষদ-এর বিশেষ বাণী জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সদস্য হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা খ. ম. আমীর আলী ছাত্র বৈষম্য আন্দোলনে আহতদের জন্য আর্থিক সহায়তা নিয়ে পাশে বিএনপি নেতা মোঃ সাইফুল ইসলাম নরসিংদীর মনোহরদীতে প্রথমবারের মতো বিজ্ঞানক্লাব ‘নেবুলাস’-এর যাত্রা শুরু প্রথমবারের মতো সচিবালয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস গার্মেন্টস ব্যবসায়িদের নিঃস্ব করে কোটি টাকা প্রতারণা করে লাপাত্তা কৃষক লীগ নেতা হান্নান শেখ!
ডাকাত আতঙ্কে সোনারগাঁ উপজেলাবাসী

ডাকাত আতঙ্কে সোনারগাঁ উপজেলাবাসী

সোনারগাঁ উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার প্রতিটি গ্রামের জনসাধারনের মাঝে বিরাজ করছে ডাকাত আতঙ্ক। ডাকাত আতঙ্কের কারনে মানুষের রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। ডাকাতদের প্রতিহত করতে প্রতিরাতে বিভিন্ন এলাকায় জন সাধারন দল বেধে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পাহারা বসিয়েছে। এতেও ডাকাতদের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না এলাকাবাসী। কোথাও না কোথাও ডাকাতরা হানা দিয়ে সর্ব লুট করে যাচ্ছে। পুলিশ ডাকাত গ্রেফতার করতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করলেও কোনক্রমেই কমছেনা ডাকাতি আর ডাকাত আতঙ্ক।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, উপজেলার সাদিপুর, জামপুর, নোয়াগাাঁও, কাচঁপুর, বারদী ও পিরোজপুর ইউনিয়ের মানুষের মাঝে সবচেয়ে বেশি ডাকাত আতঙ্ক বিরাজ করছে। উপজেলার এসব ইউনিয়নগুলো অন্য উপজেলার পার্শ্ববর্তি হওয়ায় নদী কিংবা বিল পার হয়ে ডাকাতরা দলবদ্ধ হয়ে ডাকাতি করে নির্বিগে চলে যাচ্ছে। ওই সকল এলাকায় পুলিশের টহর জোরদারের পাশাপাশি স্থানীয় লোকদের হাতে পুলিশ লাঠি বাশি তুলে দিয়েছে ডাকাতের কবল থেকে এলাকাবাসীকে রক্ষা করতে। এছাড়া সোনারগাঁ থানাটি পৌরসভার ভেতরে হলেও অন্য এলাকার মতো ডাকাত আতঙ্কে রাত কাটাতে হচ্ছে পৌরবাসীরা।
এছাড়া ডাকাত আতঙ্কের বিষয়ে অনেকই ভিন্ন মতও প্রকাশ করে বলেন, সোনারগাঁয়ের ডাকাত আতঙ্কের বিষয়টি গুজব বলে বিভিন্ন এলাকায় থেকে তথ্য পাওয়া গেছে। কারণ দিন পেরিয়ে রাত নামার সাথে সাথে কোথাও ডাকাত হানা দিয়েছে বলে লোকমুখে শোনা যায়। কিন্তু বাস্তবে ৮/৯টার সময় দেশের কোথাও ডাকাতি মত ঘটনা ঘটেছে কিনা তাদের জাননেই বলেও জানান তারা। তবে, একটি মহল মনে করেন সরকারে ভাবমুর্তি নষ্ট করতে হয়ত একটি স্বার্থনাশি মহল মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের দিয়ে ডাকাত আতঙ্ক তৈরি করছেন বিভিন্ন ইউনিয়নে।
জানাগেছে, গতকাল শনিবার সাদিপুর ইউনিয়নে কোনবাড়ী এলাকায় ৯টার সময় ডাকাতি হচ্ছে বলে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিলে কয়েক হাজার মানুষ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জড়ো হয়। পরে জানা গেলো যে এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে সেখানে কোথাও কোন ডাকাতির ঘটনা ঘটেনি। একই ইউনিয়নে রোববার রাত ৩টার দিকে রতন মার্কেটর মালিক রতন হাজ্বীর বাড়ীতে ডাকাতি হচ্ছে বলে স্থানীয় কয়েকটি মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিলে প্রায় ২০টি গ্রামের শত শত টেঁটা, বল্লম, রড ও লাঠিসোটা হাতে নিয়ে ডাকাত প্রতিহত করতে একত্রে হয়ে ছুটে যায় সেখানে। কিন্তু ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দেখা গেল ডাকাতির কোন আলামত নেই সেখানে।
সাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুর রশিদ মোল্লা জানান, প্রতিটি গ্রামের মানুষের মাঝে এখন ডাকাত আতঙ্ক বিরাজ করছে। প্রতিদিন ডাকাত দল বিভিন্ন বাড়িতে হানা দেওয়ার জন্য চেষ্টা করছে। তাই ডাকাতদের প্রতিহত করতে বিভিন্ন এলাকায় রাতভর পাহারা দেওয়া হচ্ছে।
সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোরশেদ আলম পিপিএম জানান, ডাকাতদের গ্রেফতার করতে পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিযে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে অনেক ডাকাত সদস্যকে পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। আমরা গ্রামবাসিকে পাহারা দিতে উৎসাহসহ বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছি।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com